মেছতা নিয়ে আমাদের কমন একটা প্রশ্ন রয়েছে, ‘মেছতা পার্মানেন্টলি দূর করা সম্ভব নাকি?’ মেছতা বা মেলাসমা ঠিক করা সম্ভব কিন্তু অনেক কিছুর উপর এটা নির্ভর করে।

আপনার স্কিনে মেছতা কত ডিপলি বসে গিয়েছে তা আগে আপনাকে বুঝতে হবে। মেছতার রং দেখেই বুঝে নিতে পারেন সেটা, আর মেছতা রিমুভালে সময় দিতে হবে কেননা এটি দীর্ঘস্থায়ী ট্রিটমেন্ট।

 

কারও তিন মাস বা তার বেশি ও লাগতে পারে। কিছু মানুষের জন্য তো বছরের পর বছর বা তাদের পুরো জীবন মেলাসমা থাকে এবং তা ট্রিটমেন্ট করেও দাগ যায় না।

আবার অনেকেই এক্সট্রা যত্ন নেওয়াতে খুব তাড়াতাড়ি ফল পেয়ে যায়। আবার অন্যান্য ব্যক্তিদের খুব অল্প সময়ের জন্য মেলাসমা হতে পারে, যেমন প্রেগনেন্সির সময়।

 

আবার লাইফস্টাইল ও ফুড ইনটেকের উপরও স্কিন কন্ডিশন ডিপেন্ড করে। মেলাসমা বা মেছতা থাকলে অনেকেই নিজের ত্বক নিয়ে কনফিডেন্ট ফিল করেন না।

কিন্তু ঠিক উপাদান দিয়ে যত্ন নিয়ে আর সঠিক স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করে কিন্তু মেছতার দাগ কমিয়ে আনা সম্ভব। সেই সঙ্গে ডাক্তারের সাজেশন মেনে চলবেন।

মেছতা কেন হয়?

১) জেনেটিক্স:
মেলাসমাতে আক্রান্তদের কাছ থেকে জানা যায় যে পরিবারের অন্য কারোরও মেছতা রয়েছে। বংশগতভাবেও মেছতা হয়ে থাকে।

২) সান রে এবং হিট:
সূর্যের ইউভি রে আমাদের স্কিন ড্যামেজ করে থাকে। বাহিরে বের হলে আলোতে এলে আমাদের শরীরে মেলানিন প্রডিউস হয়।

এই মেলানিন অনেকটা ছাতার মতো কাজ করে থাকে, যা সান ড্যামেজ থেকে রক্ষা করার জন্য আমাদের বডি থেকে মেলানিন সেল ওই সময় বেশি প্রডিউস হয়ে থাকে।

 

কিন্তু যখন মেলানিন বেশি প্রডিউস হয়ে যায় আর মুখে ছোপ ছোপ দাগ হয়ে যায়, তখন এই দাগকে মেলাসমা বা মেছতা বলে।

এ ছাড়া অতিরিক্ত হিটের মধ্যে থাকলেও কিন্তু মেছতা হয়ে থাকে। যেমন আগুনের হিট; রান্নাঘরে নারীদের বেশি কাজ করা হয় আর আস্তে আস্তে স্কিনে মেলাসমা দেখা দেয়।

৩) হরমোনাল:
হরমোনাল কারণেও মেছতা নারী-পুরুষ সবারই হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষের তুলনায় ৯০ শতাংশ নারীর মেছতা হয়ে থাকে।

কনট্রাসেপটিক পিল বা প্রেগনেন্সির সময় বা পরে হরমোনাল পরিবর্তনের ফলে মেছতা দেখা দেয়। গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়।

তাই মেলাসমার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। তাই প্রেগনেন্সির সময় মেলাসমা বা মেছতা দেখা দেয়। আবার থাইরয়েডের প্রবলেম থাকলেও মেছতা হতে পারে।

৪) অরিতিক্ত টেনশন:
দেখা যায় স্কিন কেয়ারের সব কিছু মেনে চলার পরও অনেকের মেছতা হচ্ছে। বেশি স্ট্রেস নিলেও কিন্তু স্কিনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে।